সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ঘাঘট নদী। ইতোমধ্যে এই নদীর পেটে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। পাইপ টেনে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। ফলে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি ও বসতবাড়ি। বালুখেকোদের খপ্পরে মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেই বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর হামিন্দপুর নামকস্থানে স্থানে দেখা গেছে-অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। সেখানে রাতের বেলায় অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে নদী ভাঙনসহ কৃষি জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়ছেন কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার জামুডাঙ্গার বাধের মাথার নুরু মন্ডলের ছেলে কামরুল ইসলাম ও হামিন্দপুর গ্রামের বুদা কান্তের ছেলে বকুল চন্দ্র যৌথভাবে মেশিন বসিয়ে ঘাঘট নদী থেকে বালু বাণিজ্য করছে। তারা কতিপয় স্বার্থন্বেশীদের ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ। লাখ লাখ টাকা মূল্যের এইসব বালু বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন তারা। এছাড়া হাসেন আলীসহ আরও অনেকে এই বালু বাণিজ্যে ফুসে উঠেছেন। এর প্রভাবে ঘাঘট নদী ভাঙনে মানুষ হারাচ্ছে বাপ-দাদার বসতভিটা ও ফসলি জমি। ঘাঘটের পেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনকে জানালেও কোনরূপ কর্ণপাত করা হয়নি মর্মে ভুক্তভোগি মানুষের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানায়, ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ট নদীপারের মানুষ। সেই সঙ্গে বালু বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর। এসব গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ঘন ঘন যাতায়াতের ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনাও। হামিন্দপুরের আব্দুর রাজ্জাক সরকার (কোর্ট মিয়া) নামের এক কৃষক বলেন, হামিন্দপুরস্থ নলডাঙ্গা ব্রিজের উত্তর পাশে ঘাঘট নদীতে কামরুল ইসলাম ও বকুল চন্দ্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতের বেলায় বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে আমার কয়েক বিঘা আবাদী জমি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে এসিল্যা-সহ থানা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা করা হয়েছে। এখনও সেখানে ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।